অনেকে বলে থাকেন, সেলোয়ার কামিজ একান্তই ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েদের পোষাক । এই কথা মোটেও ঠিক নয় । মেশকাত শরীফে স্পষ্ট বলা আছে : মেয়েদের পোশাক হচ্ছে -br br ১. সেলওয়ার,br ২. পূর্ণ হাতা বিশিষ্ট কামীছ,br ৩. চাদর জাতীয় মোটা কাপড়ের ওড়না গায় দিয়ে থাকতে হবে যাতে মুখ ও হাতের তালু ছাড়া মেয়েদর সব সময় সমস্ত শরীর ঢাকা থাকবে ।br ৪. সেন্ডেল । br br আজ আমরা দেখবো, ভিয়েতনামের একটা মিউজিক ভিডিও যাতে ভিয়েতনামের মুসলিমরা চাম ভাষায় গান গাচ্ছেন একটা মসজিদের সামনে ।চাম ভাষায় কথা বলে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মুসলিমরা । এভাষায় প্রায় ৫ লাখ লোক কথা বলে ।এই অঞ্চলের মুসলিমদের দাবি তারা রাসুলের সাহাবী জয়নব বিনতের জাহাস (রা.)-এর বাবার বংশধর বা তার সহচরদের বংশধর ।br br এই গানে আমরা দেখতে পাবো, ভিয়েত নামের দুইটা মুসলিম আপু সেলোয়ার, ফুল হাতা কামিজ ও ওড়না পড়ে গান গাচ্ছেন । আর তারা এমনভাবে পোষাক পড়েছেন যাতে তাদের মুখ ও হাতের তালু ছাড়া পুরো শরীর ঢাকা রয়েছে এবং তাদের মাথা ও বুক পর্যন্ত ঢাকা যায় এমনভাবে তারা ওড়না পড়েছেন । কিন্তু তাদের মুখমন্ডল খোলা রয়েছে । মূলত এভাবে পোষাক পড়াই সাধারণ মুসলিম মেয়েদের নিয়ম । আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসেও দেখতে পাই সাধারণ মুসলিম মেয়েরা এমনই পোষাকই পড়েছেন ।br br বাংলাদেশে ১২০৪ খৃষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রসার ও প্রচারের সময় হতেই সাধারণ মুসলিম মেয়েরা এভাবে পোষাক পড়ে এসেছেন । সুলতানী আমল ও মুগল আমলেও সাধারণ মুসলিম মেয়েরা এমন পোষাক পড়তো । কিন্তু ১৭৫৭ সালের পর ইংরেজ আমলে ধর্মীয় ক্ষেত্রে গোড়ামী ও কঠোর মনোভাব বিস্তার লাভ করে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় আন্দোলনের মাধ্যমে মেয়েদের অবরুদ্ধ করে রাখার দৃষ্টিভঙ্গিই শুধু নয়, মুসলিমদের মধ্য হতে নাচ ও গানকে নিষিদ্ধ বলে বিধান জারি হয় । সে অবস্হা আজও বজায় রয়েছে । বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশ পরাধীন হয়েছে, কিন্তু তারা এমন অবস্হায় পড়েনি । br br আমরা ইমাম গাজ্জালীর এহইয়াউ উলুমুদ্দীন বইয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে দেখানো হয়েছে, মুহাম্মদ (সা.